ফরচুন বরিশাল ও বিপিএল ট্রফির মাঝে এখন কেবল একটি জয়ের ব্যবধান। ১৮ ফেব্রুয়ারির ফাইনালে কে হবে তাদের প্রতিপক্ষ, তা জানা যাবে আজ রাতেই। প্রথম কোয়ালিফায়ারে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করে বরিশাল। শিরোপার লড়াইয়ে নামার আগে বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছেন সাকিব আল হাসান ও তার সতীর্থরা।

ট্রফির লড়াইয়ে নামার আগে তিন দিন সময় পেলেও দুই দিনই দলটি কাটাচ্ছে রয়েসয়ে। আজ বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বরিশালের কোনো অনুশীলন নেই। টিম হোটেলেই থাকবেন গেইল-ব্রাভোরা। আগের দিনও তারা এভাবেই কাটিয়েছে।

টুর্নামেন্টের শেষ দিকে এসে এমন ফুরফুরে হলেও বরিশালের শুরুটা ছিল বিপর্যস্ত। ঢাকায় প্রথম পর্বের তিনটি ম্যাচে দুটিতেই হার। বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে শুরু তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প। টানা তিন ম্যাচ জয়ের পর ঢাকা-সিলেট-ঢাকা পর্বেও ধারবাহিকতা ধরে রাখে দলটি।

টুর্নামেন্টে শীর্ষ অবস্থানে থেকে প্লে অফে উঠে আসে বরিশাল। রাউন্ড রবিন লিগের ১০ ম্যাচের মধ্যে ৭টিতে জয়। সর্বোচ্চ ১৫ পয়েন্ট নিয়ে একমাত্র দল হিসেবে তারা আসে কোয়ালিফায়ারে। সেখানে কুমিল্লার বিপক্ষে প্রথম সুযোগে ফাইনাল।

সঠিক কম্বিনেশন খুঁজে না পাওয়ায় শুরুতে বরিশালের ব্যাটিং অর্ডারে দেখা যায় ব্যাপক রদবদল। অধিনায়ক সাকিব ফর্মে ফেরার পর বদলে যায় বরিশালের চেহারা। টানা ৫ ম্যাচে বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের ম্যাচসেরা হওয়ার যার সবচেয়ে বড় প্রমাণ। ওপেনিংয়ে সমস্যা সামলান মুনিম শাহরিয়ার নামের এক বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান। ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রমাণ দিলেও বিপিএলের মতো বড় মঞ্চে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি তার সক্ষমতা।

এছাড়া বরিশালের বোলিং বিভাগ একদম ফিটফাট। রহস্যময়ী স্পিনার মুজিব উর রহমানের সঙ্গে আছেন সাকিব নিজেই। মাঝে হাত ঘোরাতে প্রস্তুত নাজমুল হোসেন শান্ত- গেইলরা। পেস আক্রমণে অভিজ্ঞ ডোয়াইন ব্রাভোর সঙ্গে তরুণ মেহেদী হাসান রানা-শফিকুল ইসলাম। এসবের সঙ্গে আছে সাকিবের বুদ্ধিদীপ্ত নেতৃত্ব। সবকিছু মিলিয়ে বরিশাল যেন উড়ছে।

অধিনায়ক সাকিবের আশা ফাইনালেও বরিশাল ভালোভাবে শেষ করবে, ‘সব মিলিয়ে ভালো ক্রিকেট খেলেছি আমরা, আর একটা ম্যাচ বাকি। আশা করি সেটাও ভালোভাবে শেষ করতে পারব।’ টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সাকিব বলেছিলেন, একেবারে ট্রফি নিয়েই বরিশাল যাবেন তিনি। এই ট্রফি থেকে আছেন হাত ছোঁয়া দূরত্বে। সাকিব কি পারবেন শেষ পর্যন্ত তার কথা রাখতে?

 

কলমকথা/সাথী